সর্বশেষঃ
সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে আজ হাজির করা হচ্ছে ট্রাইব্যুনালে দীপু মনির সুপারিশে মাউশিতে তিন হাজার পদায়ন হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বার্সেলোনাকে হারাল রিয়াল Madrid, প্রথম ক্লাসিকো জয় এমবাপ্পের আফিফের হ্যাটট্রিকের কারণে বরিশালের দুশ্চিন্তা বাড়ল বাবর-শাহিনরা গোলাপি জার্সি পরে খেলবেন নিজ বাড়ি থেকে ভারতীয় অ্যাথলেটের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পুলিশ ধারণা আত্মহত্যা অস্ট্রেলিয় নারী ক্রিকেটারদের শ্লীলতাহানির ঘটনায় ভারতের মন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্য সৌদিতে ব্যাপক ধরপাকড়, ২২ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার আফগান সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষ, পাকিস্তানি পাঁচ সৈন্য ও ২৫ জঙ্গি নিহত দক্ষিণ চীন সাগরে হঠাৎ মার্কিন যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হাতকড়া ও বেড়ি পরিয়ে ভারতে ফিরিয়ে আনা হলো ৫০ তরুণকে গাজায় মৃত্যু ও ধ্বংসের মধ্যে লুকানো হাজার হাজার টন অবিস্ফোরিত বোমা
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ: হেফাজতের হুঁশিয়ারি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ: হেফাজতের হুঁশিয়ারি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগের জন্য সম্প্রতি জারির নির্দেশনাকে কেন্দ্র করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ গভীর অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, এই গেজেট যদি অবিলম্বে প্রত্যাহার করা না হয়, তাহলে তারা রাস্তায় দাঁড়াবেন এবং গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণা দিয়েছেন। শুক্রবার সংগঠনের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমান এক যৌথ বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন।

তাদের মতে, ইসলামে বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ এবং সঙ্গীত কোনও মৌলিক শিক্ষার অংশ নয়। বাংলাদেশের মতো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশে, মুসলিম অভিভাবকদের মতামত না নিয়ে তাদের সন্তানদের প্রাথমিক শিক্ষায় সংগীত নিষিদ্ধ করা কতটা ঠিক? তাই তারা দাবি করেন, এই গেজেট যেন দ্রুত বাতিল করা হয়, এবং পরিবর্তে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়। অন্যথায়, তারা আরো উল্লেখ করে, দেশের মুসলিম শিশু-কিশোরদের ইসলামি মূল্যবোধ ও ঈমান রক্ষা করার জন্য বৃহত্তর ইসলামী জনতাকে সংগঠিত করে গণআন্দোলন গড়ে তুলবেন।

হেফাজত নেতৃবৃন্দ আরও অভিযোগ করেন, এলজিবিটি ও গানের মাধ্যমে ইসলামি মূল্যবোধ থেকে মুসলিম শিশুদের দূরে সরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা দীর্ঘদিন ধরে চালু রয়েছে, যা মূলত পশ্চিমা সংস্কৃতি ও পাশ্চাত্য ষড়যন্ত্রের অংশ। তারা বলেন, বর্তমান সরকারের আমলেই এই ইসলাম বিরোধী অঙ্গীকার বাস্তবায়িত হচ্ছে, এবং এটি দুর্বল সরকারের অজান্তে বা ইচ্ছে করে চলছে।

নেতৃদ্বয় অবেদন করেন, প্রাথমিক স্তরে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবি বহু পুরোনো হওয়া সত্ত্বেও অপ্রয়োজনীয়ভাবে সঙ্গীত শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া এখন এক প্রকার দেশের ইসলামি মূল্যবোধের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ। পাশাপাশি তারা বলেন, সাধারণ শিক্ষার মানও দ্রুত উন্নত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতের ছাত্রেরা মৌলিক বিষয়ে দুর্বল থেকে দুর্বলতর না হন।

তারা উল্লেখ করেন, জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানে বিপুল সংখ্যক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও আলেম শহিদ হয়েছেন। ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে তাদের কর্মসংস্থানও বৃদ্ধি পাবে বলে তারা মত প্রকাশ করেন। সরকারের কাছে তারা আশা প্রকাশ করে, শীঘ্রই প্রাথমিক স্তরে ধর্মীয় শিক্ষকদের নিয়োগের নতুন বিধিমালা প্রণয়ন করবেন। তাঁরা আরও বলেন, তারা চান না, অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আলেম-ওলামাদের মধ্যে কোনো ধরনের সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি তৈরি হোক। সংগঠনের বিবৃতিতে তারা সরকারের প্রতি এই আহ্বান প্রকাশ করেন যেন, যেন দ্রুত এই ভুল সিদ্ধান্ত সংশোধন হয় এবং দেশের আলেমদের মর্যাদা রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY Shipon tech bd